রাতের আকাশে যেন ক্ষণিকের জন্য জেগে উঠল সূর্য! আর তারপরই প্রচণ্ড শব্দ। এক অস্বাভাবিক রকমের প্রকাণ্ড উল্কাপাতের ঘটনা ঘটেছে নরওয়ের আকাশে। গত রবিবার গভীর রাতে দক্ষিণ নরওয়ের আকাশে সেটিকে দেখা যায়। তবে সেটি কোথায় গিয়ে পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি। সেই সঙ্গে এ-ও জানা গেছে, এই উল্কাপাতে কেউ আহত হননি। এপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
আকাশে আলোর খেলা যে কী অপূর্ব হয়ে উঠেছিল তা দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা। বহু প্রত্যক্ষদর্শীই ধরে রেখেছেন সেই মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতের আকাশে তীব্র ওই আলোর ঝলকানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সব মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ সেকেন্ড। কেউ কেউ উল্কাপাতের সময় তীব্র বাতাসও অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন। সাধারণত খুব বড় কোনো উল্কাপাতের ক্ষেত্রে এমন বাতাসও বইতে পারে।
ঠিক কোথায় ওই উল্কাপিণ্ড আছড়ে পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, নরওয়ের রাজধানী অসলোরই কোথাও সেটি পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জায়গাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ওই উল্কাপিণ্ডটি রাত ১টা ৮ মিনিটের দিকে দেখা যায়। ২৫ জুলাই রাতে ৫ থেকে ৬ সেকেন্ডের মতো এই ঘটনা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞ মর্টেন বিলেটের মতে, উল্কাটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিমির মধ্যে। অসলোর পশ্চিমে যে ৬০ কিমি বিস্তৃত জঙ্গল রয়েছে, তার মধ্যেই কোথাও উল্কাটি পড়ে থাকতে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে তাঁর মতে, ‘এমন কোনও ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি, যার সাহায্যে উল্কাপাতের সঠিক স্থান নির্ণয় করা যায়। স্থানটি খুঁজে পেতে দশ বছরও সময় লেগে যেতে পারে।’
উল্কাপিণ্ডটি মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী কোনও স্থান থেকে আসতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। পুলিশ জানিয়েছে, আকাশে আচমকাই তীব্র আলো দেখার পরে অনেকেই ফোন করে খবর দেন। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে রাশিয়ায় উল্কাপাতের ধাক্কায় প্রচুর বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১২০০ মানুষ।